অপেক্ষা বনাম অন্য কিছুর চেষ্টা

ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ ঠিক হওয়ার আশায় বসে থাকলে, দিন চলে যাবে, গন্তব্য কাছে আসবে না। প্রশ্ন সোজা হওয়ার ভরসায় সময় অপচয় করলে, টেনেটুনে পাশ হয়ে যাবে, স্কিল ডেভেলপ হবে না। চাকরির বাজার ভালো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলে, বাসা ভাড়ার বকেয়া বাড়তে থাকবে, অফার লেটার হাতে আসবে না।

তাই এক রাস্তার ব্রিজ নষ্ট হলে, অন্য রাস্তা দিয়ে যাবে। এক বাস নষ্ট হলে অন্য বাসে উঠবে। রিক্সার স্পিড বাড়াতে না পারলে, টেম্পু খুঁজবে। কর্তৃপক্ষের পলিসি চেইঞ্জ করাতে না পারলে, তোমার স্ট্রাটেজি চেইঞ্জ করবে। তারপরেও অন্যের আশায় বসে থাকবে না। অন্যকে চেইঞ্জ করতে গিয়ে সময় নষ্ট করবে না। বরং তোমার এক্টিভিটিস চেইঞ্জ করবে।

শুনো, ক্লাস সিক্স থেকে উপরের ক্লাসে উঠতে গেলে, আগের ক্লাসের বইয়ের মায়া ছাড়তে হবে। একইভাবে নতুন কিছু করতে হলে, নিজেকে আপগ্রেড করতে চাইলে, আগের লেভেলের আরামের কথা, পুরাতন হতাশার কথা, মাথা থেকে ডিলিট মারতে হবে। জ্যামের মধ্যে যে বাসে বসে আছো সেই বাসের মায়া ছাড়তে না পারলে, সামনের বাসে গিয়ে উঠার আনন্দ পেতে পারবে না। পড়া বুঝতে না পারার হতাশাকে আগলে ধরে বইখাতা না খুললে, কোনদিনও পড়া বুঝতে পারবে না। কোনদিনও ভালোভাবে পাশ করতে পারবে না।

তবে এক লাফে আসমানে উঠার স্বপ্ন দেখো না। দু-চারদিন প্রাকটিস করে বিশ্ব জয় করার আশা করলে, হতাশার সমুদ্র নিয়ে ফিরার সম্ভাবনা বেশি। বরং হারতে হারতে শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও লেগে থাকার ইচ্ছা নিয়ে নামতে পারলে কিছু হবার সম্ভাবনা থাকবে। কারণ স্ট্রাগলের খনি তৈরি করতে পারলেই, আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভা হিসেবে বেরিয়ে আসতে পারবে। সফলতার চারাগাছ দেখার আগেই, চেষ্টার বীজ বুনতে পারলেই, মাঠ ভরা ফসল গুদামে ভর্তি করতে পারবে। নিঃশেষ হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারলেই, আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরে আসতে পারবে। তখন টিটকারি মারা বন্ধুরাও তোমাকে অভিবাদন দিতে লাইনে দাঁড়াবে।সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব