You are currently viewing আয়েশ বনাম অর্জন

আয়েশ বনাম অর্জন

শুধু ট্যালেন্ট দিয়ে সব হয়ে গেলে, যে ফার্স্ট হয় তাকে ক্লাসে যাওয়া লাগতো না। এক সপ্তাহ হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করে ডাক্তার হওয়া গেলে, পাঁচ-ছয় বছর ধরে, মোটা মোটা বই কেউ পড়তো না। তিন-চারবার ব্যর্থ হয়ে ছেড়ে দিলে, সেরা ক্যাপ্টেনের দেখা বাংলাদেশ পেতো না। দুনিয়ার কেউই শর্টকাটে সফল হতে পারে না। তুমিও পারবে না। তাই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখো না। সফল হতে হলে চেষ্টা করতে হবে। সাধনা করতে হবে। ভোর হওয়ার আগেই যে সাধনা শুরু করবে, রাত গভীর হওয়ার পরেও যার চেষ্টা চলতে থাকবে, সে সফল হবেই।

দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বলতে কিছু নেই। পরিশ্রমী পোলাপান দিনের পর দিন সাধনা করে যে দক্ষতা, জ্ঞান অর্জন করে, আইলসা পোলাপান সেটাকেই ট্যালেন্ট বলে। সেজন্যই সারা বছর লাড্ডু মেরে, লাস্ট দুই সেমিস্টারে সিজিপিএ ৩.০ এর উপরে তুলতে দিশেহারা হয়ে, বোম্বল মার্কা স্টুডেন্টরা শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম দিয়ে, এক সেমিস্টারে ৩.৭৫ এর উপরে জিপিএ পেয়ে, ট্যালেন্ট এর তকমা কিনে ফেলতে পারে। আবার কলেজের মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্টটা ভার্সিটিতে গিয়ে চার সাবজেক্টে ফেল করে, ট্যালেন্ট এর মেডেল হারিয়ে ফেলে। সো, ট্যালেন্ট কিচ্ছু না। Only পরিশ্রম is real। তাই আজকের পর, “ওর ট্যালেন্ট আছে বলে পারছে, আমার ট্যালেন্ট নাই বলে পারবো না”- এমন কথা বলবা না। থাপ্পড়ের চোটে চোয়ালের দাঁত একটাও থাকবে না।

আয়েশ আর অর্জন এক পথে চলে না। অলসতা সফলতার বন্ধু হতে পারে না। ৫০ টা জিনিসে সময় অপচয় করলে, কোনটাতেই বস হতে পারবে না। মনোযোগ কেড়ে নেয়, এমন সব জিনিসগুলাকে স্টপ করাতে না পারলে, তারাই তোমার সফলতাকে স্টপ করে দিবে। তাই, একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আজকের দিনে কি কি করতে পারবা সেটাতে ফোকাস করবে। লক্ষ্যটা যত কঠিন হবে, চেষ্টার পরিমাণ তত বেশি হতে হবে। সবসময় নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করতে হবে। ঘাম যত বেশি ঝরাবা, তত দ্রুত এগিয়ে যাবা। এগিয়ে যেতে চাইলে বাধা আসবে, উষ্ঠা খাবে। তবে যত বেশি উষ্ঠা খাবে, উষ্ঠা এভোয়েড করার তত বেশি অপশন জেনে যাবে। তখন সিনেমা, আড্ডা, মাস্তির চাইতেও চেষ্টা করার মাঝে বেশি আনন্দ খুঁজে পাবে। এভাবে চলতে চলতে, একসময় নিজের অজান্তেই সফল হয়ে যা

সূত্রঃ ঝংকার মাহবুব।