পরেরবার ফাটায়া ফেলমু.

“নাহ। এইবার থাক। এইবার প্রিপারেশন ভালো না। পরেরবার আগে থেকে শুরু করে, ফাটায়া ফেলমু”। হয়তো তোমার প্রিপারেশন সুবিধার না। লজিক্যালি চিন্তা করলে, তিন মাসে, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না। তাই BCS, GRE, TOEFL, HSC এর মতো স্পেশাল পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসলেই, পিছলায় যাওয়ার ইচ্ছা বাড়তে থাকে।

তবে খারাপ প্রিপারেশন নিয়েও পরীক্ষা দেয়ার প্ল্যান নিলে, এই যে তিন মাস সময় আছে। এই তিন মাসে, পরীক্ষার উছিলায়, প্রিপারেশনের চালালে, তোমার অনেক অনেক পড়া হবে। জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করলে, অনেক অনেক কিছু শিখতে পারবে। পরীক্ষার হলের নার্ভাসনেস নিয়েও এক্সপেরিয়েন্স হবে। আর এইবার বাদ দিয়ে, পরেরবার পরীক্ষা দেওয়ার ডিসিশান নিলে, এই তিন মাসতো ডেন্ডারা বাজাবেই, পরের ছয় মাসও বাজাবে। তারপরের চার মাস শুরু করি করি করে করা হবে না। এবং পরের বছরও পরীক্ষার দুই মাস আগে এসে মনে হবে- “দূর শালা। এইবারও টাইম পাইলাম না। থাক, এইবারও থাক। পরের বার আগেভাগেই সিরিয়াস হয়ে যামু। এইভাবে বছরের পর বছর- “পরের বছর করমু করমু” করে পার হয়ে যাচ্ছে।

পিছনের ৯ মাসের আফসোসে সামনের ৩মাস নষ্ট করো না। বসে না থেকে চেষ্টা করলে, কিছু একটা তো হবে। অন্য অনেকের চাইতে বেশি পরিশ্রম করলে, অন্য অনেকের চাইতে ভালো রেজাল্ট হবে। HSC এর একবছর হেলায় নষ্ট করলে- রেগুলার পড়া সিরিয়াসলি চালানোর পাশাপাশি, রাতে দুই-তিন ঘন্টা করে ফার্স্ট ইয়ারের বইথেকে একটু একটু কর পড়লে- অল্প কিছু দিনেই পুরা সিলেবাস খোলাসা হয়ে যাবে। আর প্রিটেস্ট, টেস্টেও সময় পুরা বইতো রিভাইজ হয়ে যাবেই। খেয়াল রাখবা- একদিনে পুরা বই শেষ হবে না। কিন্তু ১৫ দিন ৩ঘন্টা করে সময় দিলে, পুরা বইয়ের অনেক কিছুই খোলাসা হয়ে যাবে। সো, ভয় পেয়ে পিছিয়ে না গিয়ে, সাহস নিয়ে সামনে যাও। দেখবে তুমি যতটা খারাপ হবে ভাবছিলা তার চাইতে অনেক অনেক ভালো হয়ে গেছে।

 

সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব