You are currently viewing সবচেয়ে বড় রিস্ক- কোন রিস্ক না নেওয়া

সবচেয়ে বড় রিস্ক- কোন রিস্ক না নেওয়া

যে প্রপোজগুলো করোনি, তার সব কয়টাতেই ছ্যাঁকা খেয়েছ। যে পরীক্ষাগুলো দিতে যাওনি, তার সব সাবজেক্টেই ফেল করেছো। যে বন্দুকের গুলি ছোড়ানি, তার সবকয়টার টার্গেটই মিস হয়েছে। কারণ লাইফের সবচেয়ে বড় রিস্ক- কোন রিস্ক না নেওয়া। রিস্ক নিলে একটা না একটা লেগে যেতে পারতো। তাই ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিয়ে একটা কিছুর পিছনে সুপার-গ্লু এর মতো লেগে থাকতে হবে। চোখ কান খোলা রেখে, সামনে এগিয়ে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা নিয়ে, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। গাড়ির ড্রাইভারদের মতো লাস্ট স্টপ আসার আগে গাড়ি থেকে নামা যাবে না। নেমে গেলে, ছেড়ে দিলে, কিংবা ভয়ে পেয়ে পালিয়ে গেলে, টার্গেট মিস হয়ে যাবে, ১০০% নিশ্চিত।শুনো, যারা এভারেস্টের চূড়ায় উঠে। তারা এভারেস্ট জয় করে না। তারা নিজের ভিতরের ভয় আর ফাঁকিবাজি করার ইচ্ছাকে জয় করে। ভয়কে দমিয়ে রাখতে না পারলে, ভয় তোমাকে দমিয়ে রাখবে।

প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গলে তোমার হাতে দুইটা অপশন থাকে। এক, ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নগুলো দেখতেছিলা সেগুলা দেখার জন্য আবার ঘুমাতে যাওয়া। দুই, স্বপ্নগুলা অর্জনের জন্য কাজে নেমে পড়া। তবে বেশিরভাগ মানুষ কাজে না নেমে, বছরের পর বছর স্বপ্ন দেখতেই থাকে। উপায় না খুঁজে, ছুতা খুঁজে। তাদের এক একটা ছুতা হচ্ছে এক একটা ইট। এইসব ছুতার ইট দিয়ে অল্প কয়দিনেই ব্যর্থতার প্রাসাদ গড়ে তোলে। কারণ ছুতা বের করা সোজা, কাজ করাটা কঠিন। তবে লাইফে নতুন কিছু পাওয়ার আগে, নতুন কিছু করতে হবে। ফুল ফোটানোর আগে, চারা লাগিয়ে সার-পানি দিতে হবে। সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে, পড়ালেখা করে পরীক্ষা দিতে হবে। চেষ্টা করে কোনকিছু না পাওয়া, ব্যর্থতা না। ব্যর্থতা হচ্ছে ধাক্কা খেয়ে পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা না করা।

যারা চেষ্টা না করে সময় আর সুযোগের জন্য অপেক্ষা করে, তাদের স্বপ্নের খামের উপরের ঠিকানা ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হতে থাকে। সেই চিঠি চলে যায় পরিশ্রমী আর চেষ্টাকারীদের ঠিকানায়। তাই স্বপ্ন দেখো না, চেষ্টা করার শপথ করো। কনফিউজড হয়ো না, কিউরিয়াস হয়ে কাজে নামো। নতুন কিছু ট্রাই করো। সফলতার খামের উপরে তোমার নামই লেখা হবে।

 

সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব