তবে, দেশে চাকরি করা টার্গেট হইলে, জিপিএ দিয়ে কিছু যাবে আসবে না। নতুন নতুন পাশ করে ইন্টারভিউ দিতে গেলে হয়তো জিপিএ দেখবে, ভার্সিটি কোনটা দেখবে। দুই বছর পরে আর কেউ জিপিএ বা ভার্সিটি কোনটা জিগ্যেস করবে না। বরং দেখবে কে কত ভালো কাজ জানে। কে দ্রুত কাজটা শেষ করতে পারবে। কে টিমের অন্য মেম্বারদের মোটিভেট করে কাজ করায় নিতে পারবে। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে এসে, সেগুলা ইমপ্লিমেন্ট করে ফেলতে পারবে। এই গুণাবলি গুলা অবজেক্টিভের গোল্লা দাগিয়ে, আগ্নেয় শিলা আর পাললিক শিলার পার্থক্য পড়ে শিখতে পারা যায় না। এগুলা শিখতে গেলে পাঠ্য বইয়ের বাইরের দুনিয়ার সাথে মেলামেশা করতে হবে। নতুন কিছু করার ট্রাই করতে হবে। তাই কোন একটা ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশনে কাজ করতে গিয়ে বা নিজের ভালো লাগে এমন কোন একটা প্রজেক্টের পিছনে টাইম দিতে গিয়ে অথবা স্পেশাল কিছু শিখতে গিয়ে কিংবা নিজে নিজে কোন একটা বিজনেস দাড় করানোর চেষ্টা করতে গিয়ে কেউ যদি C বা D গ্রেড পেয়ে কোন রকমে টেনেটুনে পাশ করে, তার টেনশন করার কিচ্ছু নাই। বরং ২৭ পাতা গরুর রচনা মুখস্তকারীর চাইতে তার ফিউচার বেশি উজ্জ্বল।
সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব