You are currently viewing মনোযোগ থাকে না.

মনোযোগ থাকে না.

মনোযোগ না থাকা সমস্যা না। মনোযোগ নাই বলে- মোবাইল গুঁতাই গাঁতায় সারা দিন পার করে দেয়াটা সমস্যা। পড়া না বুঝা সমস্যা না। না বুঝা জিনিসটা অন্য কারো কাছে বুঝতে না চাওয়াটা সমস্যা। “আগে পারতাম- এখন আর পারিনা” বলার মানেই পরাজয়ের শর্ট সার্কিটে নিজেকে সমর্পণ করা। নিজেই নিজেকে লুজারের সার্টিফিকেট দেওয়া। বরং হার মেনে না নিয়ে, পাল্টা প্রশ্ন করো- আগে কেন পারতাম? এখন কি এমন ডিফারেন্ট হইছে? ফেইসবুকিং, মোবাইল, গেমস খেলায় সময় বেশি যাচ্ছে? প্রেমে পীরিতির ক্যাচাল উদয় হইছে? আড্ডাবাজদের সাথে সখ্যতা বাড়ছে? একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে- সময় যেটাতে বেশি যাচ্ছে, মনোযোগটা সেখানেই হারিয়ে যাচ্ছে।
যেকোন সমস্যাকে বাস্তবতা হিসেবে না মেনে সমস্যার কারণ খুঁজো। সেই কারণের ভিতরের কারণ খোঁজো। এভাবে খুঁড়তে খুঁড়তে সমস্যার কারণের যত গভীরে যাবে, সল্যুশন তত স্পষ্ট হবে। সেই সল্যুশন অনুসারে একশন নেয়া তত সহজ হবে। সমস্যার আসল কারণ খুঁজে বের করে একশন না নেয়ায়, আমাদের লাইফের ৯০% সমস্যাই সমস্যা হিসেবে থেকে যায়। তাই নতুন কিছু দেখলে এক্সাইটেড না হয়ে, ফ্রাসট্রেটেড হই। ব্যর্থতা, উপহাস, ভালো না লাগার ভয় সৃষ্টি হয়। বুঝতেই পারি না-“কাজটা করে ব্যর্থ হওয়ার চাইতে, ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে বসে থাকাটা অনেক অনেক বেশি লোকসানের”।
সবকিছু ন্যায়, পক্ষপাতহীন হওয়ার অপেক্ষায় না থেকে, চেষ্টার পরিমাণ বাড়াও। পেইনকে পাওয়ারে রূপান্তর করো। ব্যর্থতার কারণগুলো অন্যের উপর ব্লেইম না করে নিজের একশন হিসেবে ক্লেইম করো। ভুল সিদ্ধান্তগুলোকে প্রোটেক্ট না করে কারেক্ট করো। নতুন সিচুয়েশনে নিজের জন্য নতুন রুল সেট করো। প্ল্যান বানানোর জন্য বসে না থেকে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার মেন্টালিটি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো। রিস্কগুলোকে উপেক্ষা না করে, কাজে নেমে উপভোগ করো। অন্যকারো দয়ার জন্য অপেক্ষা না করে, নিজে নিজেই শুরু করো। নিজেই নিজের লাইফের চালকের আসনে বসো। দেখবে- অল্প অল্প করে নিয়মিত চেষ্টার জন্যেই জীবনের চাকা সামনে এগুতে থাকে।

 

সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব.