You are currently viewing সফল হবার 4S ফর্মূলা

সফল হবার 4S ফর্মূলা

প্রথম S হচ্ছে সময়। সফল হইতে হইলে আপনাকে সময় বের করতে হবে। আড্ডা, মাস্তি, পার্টি, পত্রিকা, টিভি, ঘুরাঘুরি, সব কমিয়ে লক্ষ্য অর্জনের পিছনে সময় দিতে হবে। প্রিমিয়ার লীগে কে কয়টা গোল করছে, গেইম অফ থ্রোনের কয়টা এপিসোড শেষ হইছে, কোন খেলায় কে কয়ডা শিরোপা জিতছে সেই হিসেব রাখতে গিয়ে নিজের সময় নষ্ট করলে, সারাজীবন অন্যের জীবনের শিরোপা গুনেই কাটাতে হবে। আপনার যেমন ২৪ ঘন্টায় একদিন হয়, সাকিব, মুশফিকেরও ২৪ ঘন্টায় এক দিন হয়। তারপরেও তারা সফল কারণ, সারাদিনের মধ্যে যতটুকু সময় পায় সেটা একটা কাজের পিছনেই লাগায়। খুবই ফোকাসড থাকে। আপনার মত চৌত্রিশটা জিনিসে ঠুসা দেয় না।
দ্বিতীয় S হচ্ছে সাহস। আপনার ভিতরে সাহসের আগুন থাকতে হবে। আপনি শুরু করলেই হোঁচট খাবেন। ব্যর্থ হবেন। একবার দুইবার না, বারবার ব্যর্থ হবেন। লোকজন নাক সিটকাবে, টিটকারি মারবে, ফ্যামিলি বাধা দিবে, গার্লফ্রেন্ড মন খারাপ করবে। তারপরেও স্বপ্নের পিছনে ছোটার সাহস রাখতে হবে। সহজ রাস্তা বাদ দিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানোর বুকের পাঠা থাকতে হবে। ভুল হবে, মিসটেক হবে, ঝামেলায় পড়ে যাবেন জেনেও সাহস করে নিত্য নতুন জিনিস ট্রাই করে দেখতে হবে। সাহস করে ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারলে, সফলতা উড়ে উড়ে আসবে না।
তৃতীয় S হচ্ছে সাধনা। একবার দুইবার খোঁচা দিয়ে দুই-একটা চার ছয় পিটানো যায় কিন্তু সেঞ্চুরি করা যায় না। সেঞ্চুরি করার জন্য বলের পর বল, ম্যাচের পর ম্যাচ সাধনা চালিয়ে যেতে হয়। শূন্য কিংবা দশ-বিশ রানে আউট হইলেও পরেরদিন প্রাকটিস করতে হয়, আবারো মাঠে নামতে হয়। এইভাবে আট দশ বছর বয়স থেকে শুরু করে দিনের পর দিন মাসের পর মাস, রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে সাধনা করতে করতে এক একজন সাকিব, নাছির, তাসকিনের জন্ম হয়। দুই একবার ব্যর্থ হয়ে, টিভি সিরিয়ালের পুরা সিজন আর বৃষ্টির দিনের ভুনা খিচুড়ি নিয়ে বসলে, অলিল-খলিল হইতে পারবেন, মাগার অনন্ত জলিল হইতে পারবেন না।
চতুর্থ S হচ্ছে, শর্ট স্টেপ। আপনি এক লাফে আসমানে উঠে যাইতে পারবেন না। কোনদিনও পারবেন না। দশতলা বিল্ডিং এর উপরে উঠতে হইলে একটা একটা করে সিঁড়ি পার হয়েই উপরে উঠতে হবে।
সো, ছোট ছোট স্টেপ বের করে, সময় নিয়ে সাহসের সাথে সাধনা করতে পারলেই, সফলতা আসবে।সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব ।