You are currently viewing হোয়াট ইজ সুখ?

হোয়াট ইজ সুখ?

মন খারাপ করে সারাদিন ননস্টপ কান্নাকাটি করলেও, ছিনতাই হয়ে যাওয়া মোবাইলটা তোমার পকেটে ফিরে আসবে না। ছ্যাঁকা দিয়ে চলে যাওয়া প্রিয়জন আবারও হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজতে চাইবে না। কিংবা অন্যায়ভাবে তোমার মুখের খাবার কেড়ে নেয়া ব্যক্তিটি, তোমার যোগ্য পাওনা বুঝিয়ে দিবে না। তারপরেও ননস্টপ কান্নাকাটি করতেই থাকো। হতাশা, ক্ষোভগুলোকে টেনেটুনে লম্বা করো। জীবনটাকে ছ্যাড়াব্যাড়া ডালের বড়া বানিয়ে, ‘সুখ’ শব্দটাই ডিকশনারি থেকে মুছে ফেলো। আর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় নিয়ে জানতে চাও- “হোয়াট ইজ সুখ?”

“সুখ হচ্ছে, আনন্দদায়ক মুহূর্তের ধারাবাহিকতা।” অর্থাৎ কারো জীবনে একটার পর একটা আনন্দদায়ক মুহূর্ত আসতে থাকলেই, সে সুখী। তবে ১০০% সুখী বলতে কেউ নাই। কারণ দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষের জীবনেও একটু আধটু কষ্ট, হতাশা, বিশ্বাসঘাতকতা, ব্যর্থতার ছোঁয়া আছে। তবে সে তার লাইফের নেগেটিভ ফিলিংসগুলো, খারাপ লাগাগুলো আঁকড়ে ধরে রাখে না। টেনেটুনে লম্বা করে জীবনকে বিষাদময় করে তোলে না। বরং নেগেটিভ ফিলিংসগুলো থেকে পজিটিভ স্পিরিট খুঁজে বের করে। বা মাটি চাপা দিয়ে অন্য কোন পজিটিভ ফিলিংস অর্জন করার চেষ্টা করে।

কোন কারণে গর্তে পড়ে গেলে, বা ব্যর্থ হলে, কান্নাকাটি করে ভাসিয়ে দিতে পারো। আবার চাইলে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে, গর্তে পড়ে যাওয়াকে, যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ হিসেবে গণ্য করতে পারো। শুনো, তুমি চাইলেই দুনিয়ার সবকিছু কন্ট্রোল করতে পারবে না। অতীতকে পাল্টাতে পারবে না। কিন্তু অতীতের সেই ঘটনার জন্য তোমার প্রতিক্রিয়া, তোমার পরবর্তী পদক্ষেপকে কন্ট্রোল করতে পারবে। সো, দুঃখের বেড়াজালে না আটকে না থেকে, আনন্দ কুড়ানোর মিশনে লেগে থাকো।

ফিউচার নিয়ে কনসার্নড না হয়ে কিউরিয়াস হও। সুখগুলো গাড়ি-বাড়ি আর ভবিষ্যতের জন্য জমা না রেখে, আজকের দিনের ছোটখাটো মুহূর্তগুলো উপভোগ করো। আনন্দ নাই, পজিটিভ ফিলিংস নাই, এমন কাজ চালিয়ে যেতে বাধ্য হলে, অন্যকিছুতে আনন্দ খুঁজে বের করো। তোমাকে ১০০% সুখী হওয়া লাগবে না। শুধু কষ্টের চাইতে আনন্দের পরিমাণ বেশি হতে হবে। অন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াও। কারো জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতায় করলে, তার অর্জনও তোমার জন্য আনন্দদায়ক অনুভূতি নিয়ে আসবে।

রিলেশনশিপের প্রতি সৎ, নিষ্ঠাবান ও কেয়ারী হও। “আমার কথাই ঠিক, তোমারটা ভুল” এমন চিন্তাভাবনা পরিহার করো। ভুল স্বীকার করার, আপোষ করার অভ্যাস গড়ে তুলো। সন্দেহ থাকলে বেনিফিট অফ ডাউট দাও। আম্মু-আব্বু, ভাই-বোন, বাসায় কাজের লোক, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা-বোধ বাড়াও। যে রিক্সাচালক যে তোমাকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দিছে, যে টঙ্গের চা দোকানদার তোমাকে চা বানিয়ে খাইয়েছে, যে যাত্রী নেমে যাওয়ায় তুমি বাসে সীট পেয়েছ, সবাইকে নিজের ভিতর থেকে ফিল করে থাঙ্কু বলো। কারণ দরদ দিয়ে কাউকে থাঙ্কু বললে, নিজের ভিতরেও একটা পরিতৃপ্তি আসে। আর পরিতৃপ্তির সংখ্যা বাড়াতে পারলেই জীবনে সুখী হতে পারবে।

 

 

সুত্রঃ ঝংকার মাহবুব